আজকে আমরা আপনাদের সামনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি। পুরুষের পোশাক সম্পর্কিত তথ্য যেমন কিভাবে আপনার পোশাক ম্যাচ করে পরবেন- কোন রং ও স্টাইল পছন্দ করবেন।

যদি আপনার একটি মাত্র স্যুট থাকে, কোন স্টাইলের জুতা সবচেয়ে ভাল মানাবে এবং আপনার অনিয়মিত পোশাকগুলো কিভাবে একসাথে মিলিয়ে পরবেন।

আপনার বাজেট সীমিত হলে, অর্থের বেশির ভাগ অংশ কোথায় এবং কিভাবে পোশাক নির্বাচন করার ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করবেন সে সম্পর্কে ধারনা পাবেন।

পুরুষের পোশাক ম্যাচ করার গাইডলাইন-

এক জন ভাল পোশাকধারীর রহস্য হল সে লোক দেখান বা অতিরঞ্জনের জন্য পোশাক পরেন না, সে শুধু তার পোশাকগুলো একটির সাথে অন্যটি মিলিয়ে পড়ে। এর জন্যমাত্র কয়েক জোড়া পোশাক থাকলেই করা যায়। ভাল দেখে ২ টি স্যুট , ৪ টি শার্ট , ৪ টি টাই এবং ২ জোড়া সু থাকলে সেগুলো ৬৪ রকম আলাদা আলাদা ভাবে পরা যায়। শুধু খেয়াল রাখতে হবে যে কাপড়গুলো যেন অদল বদল করে পড়তে পারেন।

কাপড়গুলো যেন শরীরের সাথে ফিট হয়। আজ যে কাপড় ফিট হয় সেটি ২ মাস পর ফিট নাও হতে পারে , যদি খুব টাইট হয়ে যায় অথবা খুব ঢিলা হয় তবে ভাল দর্জি দেখে ঠিক করে নিতে হবে।

ক্লাসিক কালার, গঠন ও স্টাইল এর কাপড় পছন্দ করুন যেন সে গুলো অনেক দিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারেন।

খরচ কমানোর জন্য নিম্ন মানের সস্তা জিনিস কিনবেন না, ভাল মানের দামী জিনিস কিনুন এতে আপনি লাভবান হবেন।

কিভাবে? আপনি ভাল মানের দামী জিনিসটি হয়ত ৩ বছর ধরে ব্যবহার করবেন। সস্তা জিনিস টি হয়ত ১ বছর ব্যবহার করতে পারবেন, তাহলে ৩ বছর চলতে সস্তা জিনিসটি ৩ বার কিনতে হবে যার মূল্য নেহাত কম হবে না।

মূল স্যুট

প্রত্যেক মানুষেরই তার সংস্কৃতি অনুযায়ী অন্তত ১ টি স্যুট থাকা প্রয়োজন। এটি যেন আপনার বডির সাথে ফিট হয়, পরিষ্কার ও সব সময় পরার উপযোগী হয়। এমন অনেক পেশা আছে যেখানে স্যুটের দরকার হয় না।

এমন অনেক পেশা আছে যেখানে স্যুটের দরকার হয় না। আমার এক বন্ধু সফটওয়্যার কোম্পানিতে কাজ করে, সেখানে ইচ্ছা মত পোশাক পরে কাজ করা যায়।

যদি একটি মাত্র স্যুট থাকে তবে তা-

  • ফিট হতে হবে,
  • গাঢ় কালারের হতে হবে,
  • যেকোনো সময় পরবার উপযোগী হতে হবে।

পোশাক তৈরির এই পর্বে আলোচনা করব, আপনার বাহ্যিক উপস্থিতিতে যুক্ত ঘড়ি, আংটি ও অন্যান্য উপকরণ সম্পর্কে।

ঘড়িঃ

ঘড়ি যত সাধারণ হবে তত বহুমুখী ব্যবহার করা যাবে। প্লাস্টিকের বেল্টের ডিজিটাল ঘড়ি খেলাধুলার জন্য ও একাধিক কাঁটাযুক্ত ধাতব চেনের ঘড়ি অফিসের জন্য। তবে সবচেয়ে উপযোগী হল চামড়ার বেল্টের ঘড়ি। এটি আপনি সব যায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন। এতে আপনার সাশ্রয় হবে।

বেল্ট:

স্মার্টলুকের জন্য শুধু পোশাকই নয়, চাই ফ্যাশনেবল অনুষঙ্গ। ছেলেদের অত্যাবশক একটি অনুষঙ্গ হচ্ছে বেল্ট। জিন্স কিংবা ফরমাল, যে কোনো প্যান্টের সাথে একটি প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ হলো বেল্ট।

ফ্যাশনেবল সব বেল্টের খবর জানতে চোখ রাখুন সাদমার্ট এ।

করপোরেট পোশাকের সঙ্গে মানানসই চিকন বেল্ট।

আর বন্ধুদের আড্ডায়ও নিতে পারেন একটু বৈচিত্র্যময় বেল্ট।

আংটিঃ

রুচি, পছন্দ ও পরিবেশের উপর নির্ভর করে আংটি ব্যবহার করতে পারেন, এটি অনেক সময় সম্পর্ক ও সম্পদের নিদর্শন, যদিও অনেকের চোখে এটি বাড়াবাড়ি ও অপচয়। হাত তুলনামুলকভাবে ছোট হলে হাতে দুইটি আংটি থাকলে খুবই সুন্দর লাগে।

ব্রেসলেটঃ

ছেলেদের শপিং এ ব্রেসলেট বর্তমান প্রজন্মের কাছে ফ্যাশনের অন্যতম একটি অনুসঙ্গ।

অনলাইনে Shadmart.com হতে কিনুন চেইন ব্রেসলেট। রেসলেট ও চেইন ব্রেসলেট এর সর্বোচ্চ সংগ্রহ। কোন কোন ধরনের ব্রেসলেট আপনিও পরতে পারেন তারই কিছু নমুনা।

সানগ্লাসঃ

আপনার চেহারা ও যে পরিস্থিতিতে ব্যবহার করবেন তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে একটি পরিষ্কার সানগ্লাস ব্যবহার করবেন। প্রত্যেকের দুইটি সানগ্লাস থাকা উচিত- একটি উন্নত মানের যেটা প্রতিদিনের স্যুট, টিশার্ট সেগুলোর সাথে ব্যবহার করবেন। যদি আপনি একজন খেলোয়ার হন বা খেলাধুলার সাথে সম্পৃক্ত হন তবে খেলোয়াড়ি স্টাইলের সানগ্লাস ব্যবহার করবেন। এই সানগ্লাসগুলো ব্যাবসার পোশাকের সাথে ব্যবহার করবেন না।

টাই পিনঃ

টাই যাতে বাতাসে না উড়ে এবং খাবারের সময় খাবারের উপর পরে না যায় সেজন্য টাই-পিন ব্যবহার করবেন। যদি আপনার অনেক গুলো টাই থাকে এবং প্রতিদিন টাই ব্যবহার করেন তবে টাই ক্লিপ ব্যবহারে বিচিত্রতা আনতে পারবেন।

ওয়ালেট বা মানি ব্যাগঃ

প্রয়োজন অনুযায়ী মানিব্যাগ পছন্দ করা উচিত। যদি আপনি খুব বেশি ভ্রমন করেন তাহলে পাসপোর্ট, কলম ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস যত্ন সহকারে রাখা যায় এইরকম বড় সাইজের মানিব্যাগ দরকার।

প্রতিদিনের জন্য পাতলা এবং ভাঁজ করা যায় এইরকম মানিব্যাগ ব্যবহার করবেন। প্যান্টের পকেট ২ইঞ্চি ফুলে যাবে, এইরকম মানিব্যাগ নিয়ে হেটে না বেড়ানোই ভাল।

ব্রিফকেস, নোটবুক এবং হ্যান্ডব্যাগঃ

আপনি যদি ব্যবসায়ী হন তাহলে অন্তত একটা গাড় রঙের ব্রিফকেস কিনে নিবেন। যদি আপনি পেশাগত কারণে প্রায়ই ভ্রমন করেন তবে দুটি ব্রিফকেস রাখুন। একটি ছোট প্রতিদিনের কাজের জন্য, অন্যটি বড় যেটাতে সারা সপ্তাহের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও আপনার ল্যাপটপ বহন করতে পারবেন।

৩য় পর্বে আমরা আপনাদের জন্য আরো চমৎকার ধারণা দিব। ৩য় পর্বের জন্য আমদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।